প্রতিশোধের নেশায় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে বিএনপি : কাদের


খুলনা লাইভ ডেস্ক প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২২, ১২:২১ অপরাহ্ন /
প্রতিশোধের নেশায় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে বিএনপি : কাদের

বিএনপি বিভিন্ন সময় প্রতিশোধের নেশায় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো করেই জানে তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল? গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি রাষ্ট্র হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর, উষর, অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এই সমাবেশে সরকার বাধা দেয়নি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল এই সুযোগে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে। বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে তা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘২০০১-৬ সালে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। অথচ আজ তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে। তাদের মনে রাখা উচিত, অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই তারা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এরপরও তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারাদেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়।’
কাদের বলেন, ‘দেড় শতাধিক নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে শতশত মানুষ। বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও সেই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে না।’
স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ ফুঁসে ওঠেনি। বরং বৈশ্বিক এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
সংকটকালে বিএনপি ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই মানবিক সংকটে যখন বিশ্বব্যাপী সকল রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উসকানি দিচ্ছে। এতেও তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি, এরপরই বিএনপি এই ব্যর্থতা ঘুচাতে তাদের স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’