খুলনায় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রিপিস


খুলনা লাইভ প্রকাশের সময় : মার্চ ৩০, ২০২৪, ৩:৩৩ অপরাহ্ন /
খুলনায় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রিপিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে মার্কেটে ততই বাড়ছে ভিড়। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন ক্রেতারা। পুরুষদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে তরুণী ও নারীদের ভিড়ই বেশি।

নগরীর মার্কেটগুলোতে এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নূরস, আগানূর, মারিয়াবি, ছাদাবাহার, ছানাছাফিনা ও জামাল কুদু নামের থ্রিপিস। এছাড়াও রয়েছে আলিয়াকাট, পার্সি, দিল্লি বুটিকস, তাওয়াক্কাল, বিন হামির, অর্গানজা, নায়রা, গারারা ও সারারা নামের থ্রিপিস। এগুলো ভারত ও পাকিস্তানি থ্রিপিস। ভারতীয় টেলিভিশন সিরিয়ালের বিভিন্ন নামের থ্রিপিসও কিনছেন তরুণীরা। প্রতিটি দোকানেই নতুন নতুন ডিজাইন ও বাহারী নামের থ্রিপিস এনেছেন বিক্রেতারা।

নিউমার্কেটের খুলনা এন্টারপ্রাইজের মালিক সেলিম তারিক জানান, এবার পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্রান্ডের থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া ভারতীয় বিভিন্ন থ্রিপিসও বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, পাকিস্তানি থ্রিপিচ সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভারতীয় ব্রান্ড ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ভারতীয় বুটিকসের পোশাক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দোকানের কর্মচারী মো. আলমগীর জানান, ইতোমধ্যে বেচাকেনা জমে উঠেছে। দোকানে এসে বেশিরভাগ ক্রেতা পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রিপিস কিনছে। ওই দোকান থেকে থ্রিপিস কেনার পর কলেজ ছাত্রী সোনিয়া শারমিন বলেন, কয়েকটি ড্রেস দেখে পরে আগানূর থ্রিপিস কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি থ্রিপিসের দাম ২/৩ হাজার টাকা বেশি।

খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের মালিক আবুল হাসান জানান, ভারত ও পাকিস্তানি থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। সেই সঙ্গে তার দোকানে দেশি বিভিন্ন থ্রিপিস রয়েছে। দাম কিছুটা বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ডলারের রেট বেশি এবং আমদানি শুল্ক বেড়েছে। সব মিলিয়ে পোশাক কিনতে এবার খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এজন্য দাম গতবারের তুলনায় বেশি। এই মার্কেটের মারিয়াম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আমিন হোসেন মিঠু বলেন, শুক্রবার, শনিবার এবং ছুটির দিনে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় বিভিন্ন শাড়ির পাশাপাশি বেশি বিক্রি হচ্ছে জামদানি ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি। এসব শাড়ির দাম ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। শিশু ও তরুণদের জন্য এবারের ঈদেও এসেছে নতুন নতুন ডিজাইনের প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি। প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে মার্কেটগুলোতে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত রেলওয়ে মার্কেটে। এই মার্কেটে বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এই মার্কেটের প্রতিটি দোকানেই নতুন নতুন ডিজাইনের পোষাক এনেছেন বিক্রেতারা। এই মার্কেটের কে আই গার্মেন্টসর মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, এ বছর শার্টের চেয়ে পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশি।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ছেলেদের ভিড় বেশি নগরীর শিববাড়ি মোড় ও মজিদ স্মরণী কেন্দ্রিক ব্রান্ডের শো-রুমগুলোতে। সেখানে ছেলেদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক এসেছে। গত বছর ঈদ বাজারে মূল্য ছাড়ের নানা অফার এবং র‌্যাফেল ড্র থাকলেও এবার তা দেখা যায়নি।

এছাড়া নতুন ডিজাইনের পাঞ্চাবির জন্য আড়ং, অঞ্জনসসহ দেশি ফ্যাশন হাউজগুলোয় ভিড় করছেন ক্রেতারা। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে টেইলার্স ও দর্জির দোকানগুলোতে।