বর্তমানে অত্যাধিক উচ্চ রক্তচাপের পেছনে রয়েছে -অত্যাধিক মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন -যাপন, বাইরে খাওয়া-দাওয়ার প্রবণতা। ফলে আমাদের প্রতিনিয়ত উচ্চ রক্তচাপের কারণে নানা রকম ওষুধ খেতে হয়।
কিন্তু কেবল ওষুধ খেলেই কি সমস্যার সমাধান হয়? এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় পারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সেইসঙ্গে নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার উপর জোর দেন তারা।
এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায় আমরা অবলম্বন করতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা ভরসা রাখতে পারি রসুনের উপর। আমিষ রান্নার অন্যতম উপকরণ হল এই রসুন। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের যত্ন নিতে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে রসুন। শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানে এই রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। রসুনে থাকা ‘এলিসিন’ নামক উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদদের মতামত, অ্যান্টিবায়োটিক ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ঠাসা রসুন শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী। খালি পেটে রসুন খেলে শরীর টক্সিন মুক্ত হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিপাক হার একটু বেশি পরিমাণে দেখা যায়। তাই খালি পেটে এই রসুন খেলে যেমন ওজন ঝরবে দ্রুত, তেমনি বিভিন্ন সমস্যা থেকেও বাঁচিয়ে থাকে এই রসুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ সবকিছুতেই রসুনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তকে পরিশুদ্ধ করে রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর এই রসুন। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম রসুন। সকালে তাই খালি পেটে রসুনের কোয়া খেলে শরীরের যে দূষিত পদার্থগুলো থাকে সেগুলো মুত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন অনেক উপকারী স্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে রসুনের ভূমিকা অত্যান্ত বেশি পরিমাণে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালনও সঠিক মাত্রায় রাখে রসুন। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন রসুন।
যকৃত, মূত্রাশয়কে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে থাকে রসুন। এছাড়া পেটের নানা ধরনের গোলমাল ও হজমের সমস্যা দূর করতেও রসুনের ভূমিকা অনেক বেশি। বিপাকহার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
এছাড়াও কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ রয়েছে যেমন- ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :