বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘ডিসেম্বর নাগাদ ডলার সংকট কেটে যাবে। এলসি করতে কোনো বাঁধা নেই। তবে আমদানির ক্ষেত্রে মূল্য অতিরিক্ত দেখানো (ওভার ইনভয়েসিং) কিংবা মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং) হলে কোনো ছাড় নয়। ’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘অর্থপাচারের উদ্দেশে আমদানিতে ঋণপত্র খুলে ওভার এনভয়েসিং কিংবা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের চেষ্টা করলে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) গ্রাজুয়েশন বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণে দেশের ভাবমূর্তি অর্জনে সহায়তা করবে। পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা বাড়াবে। তবে মনে রাখা দরকার, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দাভাব রয়েছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক চাপও রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা রয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও কমিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় টেকসই বাণিজ্য নিশ্চিতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মকৌশল নিতে হবে। বিদ্যমান যে ব্যবসা পরিবেশ তা দিয়ে আগামী চার বছরের মধ্যে উত্তরণ সম্ভব না। ’
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশনের (এলডিসি থেকে উত্তরণ) জন্য উৎপাদনকাজে নিয়োজিত শ্রমিক, কৃষক এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আর্থিক কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। এখানে ঘাটতি আছে। কে আমাদের কোথায় কী সার্টিফিকেট দিল, সেটা বিষয় নয়।’
সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশ যে ধরনের ট্যারিফ পলিসি (শুল্ক নীতি) নেয়, বাংলাদেশেরও তা নেয়া দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :