ডিবির ধারণা

চনপাড়ায় নয়, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে অন্য কোথাও


খুলনা লাইভ ডেস্ক প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২২, ১:০৯ অপরাহ্ন /
চনপাড়ায় নয়, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে অন্য কোথাও

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে সর্বশেষ যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। ৩ থেকে ৪ জন যুবক তাকে লেগুনায় উঠিয়ে নিয়ে যায় তারাবোর দিকে। ওই লেগুনার চালক ও আরোহীদের খোঁজা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

চনপাড়ায় নয়, ফারদিনকে অন্য কোথাও হত্যা করা হয়েছে বলেও মনে করছে ডিবি।

হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টার দিকে ফারদিনকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সাদা পোশাক পড়া এক ব্যক্তির সাথে কথা বলে লেগুনার ওঠে সে। এরপর লেগুনা তারাবো বিশ্বরোডের দিকে চলে যায়। সেসময় লেগুনায় আরও চারজন ব্যক্তি ছিলেন।

হারুন বলেন, সাদা পোশাক পরা ব্যক্তি, লেগুনার চালক ও লেগুনায় আগে থেকে থাকা চারজনকে সনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

হারুন আরও বলেন, সময় ও দূরত্ব বিবেচনা অনুযায়ী ওই রাতেই যাত্রাবাড়ী থেকে কোনোভাবেই ফারদিনের চনপাড়ায় যাওয়া সম্ভব না। কারণ ওখান থেকে চনপাড়ার দিকে রওয়ানা দিলেও আড়াইটার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই খুন চনপাড়ায় নয়, অন্য কোথাও হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিবি পুলিশ।

রহস্য উদঘাটনে ডিবি কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধারের দু’দিন পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় বুশরাকে।